আজকের লেখা শুরু করছি ভারতবর্ষ তথা পৃথিবীর মুক্তিসংগ্রামের সর্বশ্রেষ্ঠ
নায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটা উক্তি দিয়ে: "নিজের প্রতি সত্য হলে
বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না"।
প্রজাতন্ত্র দিবসে আমাদের
দলীয় অনুষ্ঠানে আমাদের বিধায়ক রাণাদার বক্তব্য শুনে আমার উপরোক্ত
উদ্ধৃতিটি দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।
সত্যিই আজকে রাণাদার বক্তব্য
ছিল অত্যন্ত বাস্তবোপযোগী।তাঁর কয়েকটা কথার উদ্ধৃতি দিলে আপনারও মনে হবে
যে এমন কথাতো এখনকার বেশীরভাগ কে বলতে তো শুনিনি।
প্রথমত মানুষ ভোট দিয়েছেন মা মাটি মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে।
দ্বিতীয়ত
একজন কৃষক রাজনীতির মধ্যে না ঢুকেও ভোট দিয়েছেন আমাদেরকে।আমাদের তাঁদের
মর্যাদা ও সম্মান দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ থাকতে হবে।
অনুরূপ ভাবে বেশীরভাগ সাধারণ মানুষ রাজনীতি করেন না,কিন্ত ভোটটা আমাদের দেন ,তাঁদের পরিষেবা দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
আরো বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সকলকে আপন করতে পারেন,তবে আমরা পারব না কেন?
দলের ভাবনার সঙ্গে নিজেদের মানানসই করতে হবে,এখানে কোন শিথিলতা বরদাস্ত করা যাবে না।
আমাদের
বিধায়ক আরো বলেন যে ব্লক কমিটিকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে বলা আছে ,আমি কোন
ব্যাপারে তো হস্তক্ষেপ করি না।প্রয়োজন না হলে হস্তক্ষেপ করব না,তার
অর্থ এই নয় যে অন্যায় করে পার পাওয়া যাবে।
সত্যিই আজকের বক্তব্য আমাদের বিবেক জাগানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট। আজকের প্রজাতন্ত্র দিবসের বক্তব্যকে জাগরণের বক্তব্য বললে বোধ হয় কম বলা হয়।
আমি আগেও বলেছি আজও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি লাভপুরের মানুষ যে সম্পদ (পড়ুন বিধায়ক রাণাদা) পেয়েছেন তাঁকে মনের মাধুরী দিয়ে সযত্নে লালন পালন করতে চান,আমাদের সকলের উচিত সেই ভাবনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনুসরণ করা।
লাভপুরের মাটি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মাটি।সেই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার যিনি দায়িত্ব নিয়েছেন,আসুন আমরা সকলে মিলে তাঁর হাতকে শক্ত করে এগিয়ে চলি।